ফাঁস, লেজ ও নাগরাজুতোর গল্প
~~~ ফাঁস, লেজ ও নাগরাজুতোর গল্প ~~~ একধরনের চাহিদা টের পান — (কেউ বলে দেয় না) — গাঠনিক তুল্যতা-বিচারের দাবি ওঠে মনে — আপনি নান্দনিক হয়ে ওঠেন; আর, উনি লেজ খসিয়ে, ফাঁসমুক্ত হয়ে, নাগরাজুতো পরে, ঘিঞ্জিভাব ত্যেজে, পরিপাটি নরবানর হন। এ-কথা বলে বিশেষ-কিছু বলে উঠতে পারা গেল না বটে, সর্বনামের দাবিদারের সঙ্গে আলাপ হয় নি যেহেতু, তবে বলতে যে বল লাগে তা জানি;→ যে-বল লাগবে তা ব্যবহৃত পদ, পদগুচ্ছ, বাক্যাংশ, বাক্য ও অনুচ্ছেদ নিজেরাই নিজেদের মধ্যে যোঝাযুঝি করে রচনা করবে, এবং ঠেলাঠেলিতে অর্বাচীন যে-কাজিয়া-ফ্যাসাদ ঘটবে তাতে সেই পুরাতন তুল্যতায়ই ফিরে যাওয়া যাবে এবং এভাবেই বৃত্তটি পূর্ণ হবে আর কর্তাসত্তা হিসেবে আমিও দায় এড়াতে পারব। পুরাতন তুল্যতাই যে। আলোচকের কর্তৃত্ব বইই গৌরচন্দ্রিকা বৃত্তান্ত ছুঁয়ে ফেলেছে বলে বর্তমান আত্মন্যুব্জ কাজিয়ার আওতার বাইরে থেকে যাবে ওই তুল্যতা ও নান্দনিকতার প্রবণতা; এভাবে কিছু বাজে ও ঘোরালো কচকচি দিয়ে বর্ণকে বর্তমান দার্ঢ্য যা স্থিতিশীলতার পারা দেখায় তা থেকে মুক্ত করা গেল; এবং তাই গাঠনিকভাবে কাঁচা বর্ণ নিয়ে পেলব ও স্ফূর্তিপূর্ণভাবে কথা বলা চলবে; অতএব ও অতঃপর...