Posts

ফাঁস, লেজ ও নাগরাজুতোর গল্প

~~~ ফাঁস, লেজ ও নাগরাজুতোর গল্প ~~~ একধরনের চাহিদা টের পান — (কেউ বলে দেয় না) — গাঠনিক তুল্যতা-বিচারের দাবি ওঠে মনে — আপনি নান্দনিক হয়ে ওঠেন; আর, উনি লেজ খসিয়ে, ফাঁসমুক্ত হয়ে, নাগরাজুতো পরে, ঘিঞ্জিভাব ত্যেজে, পরিপাটি নরবানর হন। এ-কথা বলে বিশেষ-কিছু বলে উঠতে পারা গেল না বটে, সর্বনামের দাবিদারের সঙ্গে আলাপ হয় নি যেহেতু, তবে বলতে যে বল লাগে তা জানি;→ যে-বল লাগবে তা ব্যবহৃত পদ, পদগুচ্ছ, বাক্যাংশ, বাক্য ও অনুচ্ছেদ নিজেরাই নিজেদের মধ্যে যোঝাযুঝি করে রচনা করবে, এবং ঠেলাঠেলিতে অর্বাচীন যে-কাজিয়া-ফ্যাসাদ ঘটবে তাতে সেই পুরাতন তুল্যতায়ই ফিরে যাওয়া যাবে এবং এভাবেই বৃত্তটি পূর্ণ হবে আর কর্তাসত্তা হিসেবে আমিও দায় এড়াতে পারব। পুরাতন তুল্যতাই যে। আলোচকের কর্তৃত্ব বইই গৌরচন্দ্রিকা বৃত্তান্ত ছুঁয়ে ফেলেছে বলে বর্তমান আত্মন্যুব্জ কাজিয়ার আওতার বাইরে থেকে যাবে ওই তুল্যতা ও নান্দনিকতার প্রবণতা; এভাবে কিছু বাজে ও ঘোরালো কচকচি দিয়ে বর্ণকে বর্তমান দার্ঢ্য যা স্থিতিশীলতার পারা দেখায় তা থেকে মুক্ত করা গেল; এবং তাই গাঠনিকভাবে কাঁচা বর্ণ নিয়ে পেলব ও স্ফূর্তিপূর্ণভাবে কথা বলা চলবে; অতএব ও অতঃপর...

শূন্য, যা গণনাঅক্ষম

কিছু শব্দ যা চাবিকাঠির ম’ত কাজ করে: চাবিশব্দ: দেশ(বাংলা), space(ইংরেজি), espace(ফরাসি), স্থান(বাংলা), place (ইংরেজি), endroit(ফরাসি), τόπος(গ্ৰিক) দেশকাল(বাংলা), xронотоп(রুশ), chronotope(ইংরেজি); যেগুলো আপাত-প্রতিশব্দরূপে ব্যবহৃত হলেও গূঢ় তফাত রয়েছে।           শূন্য, যা গণনাঅক্ষম আমরা কি সংখ্যাকে গুনতে পারি? যখন কোন সংখ্যা বিভিন্ন অনুক্রমের সমসত্ত্ব সারিবাঁধা ক্ষেত্রগুলি গুনতে ব্যবহৃত হয়, যখন কোন অনুক্রম প্রতিমুহূর্তে অন্যান্য অনুক্রমের ক্ষেত্রগুলির ছাপধারিকা হয়„ তখন আমরা পিণ্ডস্বরূপ-কোনওকিছুর ম’ত ভাবের সাংখ্যীয় উপস্থাপনা ব্যবহার করি — আমরা একসেট্ সংখ্যাকে ‘স্বাভাবিক সংখ্যা’ বলেছি, যথাক্রমিক ফলগুলির দ্বারা ‘নিজে অন্য-কিছুর দ্বারা গণনাক্ষম’— এমন ক্রীড়াসমূহ বলবৎ রেখেছি: (সীমানা অস্তিত্বশীল) ←সর্বসম→ (কোনও একের নিজস্বতা) ←সর্বসম→ (একই সঙ্গে অন্তর্জগৎ ও বহির্জগতের অস্তিমানতা)। দুটো ক্ষেত্র রয়েছে যা-তে অন্তর্জগৎ ও বহির্জগৎ ঘেরিত বা আত্মকৃত ও নির্বাসিত হতে পারে না: হয় সীমানাকে এমন একটা অপেক্ষক হতে হবে যা সন্ততভাবে অন্তর্জগৎ ও বহির্জগতের উভয়ের দ্বারা নস...

কাঁকড়া

                                     কাঁকড়া                                        ১ আঙুলের সচকিত প্রতিন্যাসে ছিপি খুলে গেলে তরলে আলোড়ন হয়। আঙুল ও নখ ভুলে তখন চোখের মৎসদার্ঢ্যে আঙুল-ছোঁয়া শুকনো চুল আছড়ে প'ড়ে তাকায়  —  একবার ঘুড়ির দিকে‚ একবার মাকড়সার।         নেশা ক'রলে ও চুল ছেঁড়ে। অথচ নেশা ক'রতে ও যে চায় এমন নয়। বরং পাহাড়ের বিশেষ জায়গা থেকে  ঝুঁকে তালে দেখা যায় মাছগুলোর খলবল  —  অগমেন্টেড(augmented) জটিল-তলে জলীয় বাষ্পানাগোনা।         ঘুম থেকে উঠে দেখলে কিছু  স্তনদন্তের মত দেখা যায় :-  আস'লে কুকুরদাঁত  —  দাঁতের বেড়ায় ঘেরা বিড়ালটা লামামুখ নিয়ে ঝাপসা অন্ধকারে প্রতিকূল হাওয়ায় দাঁড়িয়ে আছে। ওর লেজরোমে মধ্যমা রাখতে ও বিপদজ্জনক (কার কাছে (?)  বোঝা গেলো না।)-তাকালো। রোমগুলো সব ঝ'রে গেলো। ...